ডিম একটি পুষ্টিগত খাবার যা প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের ভালো উৎস। এটি প্রাকৃতিক কোষের গঠন এবং রক্তচালনা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ডিমে প্রোটিন স্বাধীনভাবে পাচ্য হয় এবং হয়তো অন্যান্য মাংসের তুলনায় কম ফ্যাট থাকে। এটি স্বাস্থ্যকর হৃদয়ের জন্য ভালো যেতে পারে এবং শিশুদের মেধা ও বৃদ্ধির জন্য গুণকর। ডিমে থাকা অতিরিক্ত আয়োডিন হয়তো থাইরইড হরমোনের উৎপাদনে সাহায্য করে। ডিমে রয়েছে ভিটামিন ডি যা হাড়ের স্থিতিকারকতা ও মুস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ডিম কি?
ডিম
একটি সুলভ ও উচ্চমানের প্রোটিনযুক্ত খাদ্য, যাতে রয়েছে প্রাকৃতিক ভিটামিন ও
মিনারেল যা শরীরগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিমের মধ্যে ওমেগা-৩
ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি হৃদপিণ্ডের
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
ডিমের ইতিহাস
ডিম মানুষের খাদ্যতালিকায়
একটি প্রাচীন এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকেই
মানুষ বন্য পাখির ডিম সংগ্রহ করে খেয়ে আসছে। প্রাচীন মিশর ও চীনে প্রায়
৭০০০ বছর আগে থেকেই মুরগি পালন এবং তাদের ডিম খাওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়।
প্রাচীন
রোমানরা ডিমকে খুবই উপাদেয় খাদ্য হিসাবে গণ্য করতো এবং তারা বিভিন্ন
ধরণের পাখির ডিম খেত, যেমন মুরগি, হাঁস, এবং ময়ূরের ডিম। ডিম রান্নার
বিভিন্ন পদ্ধতি যেমন সেদ্ধ, পোচ, ভাজি প্রভৃতি প্রাচীন গ্রিক, রোমান এবং
পারস্যের রান্নাবান্নায় প্রচলিত ছিল।
মধ্যযুগে, ইউরোপের খ্রিস্টান
সমাজে ডিম ছিল লেন্ট সময়ে নিষিদ্ধ, কিন্তু ইস্টারের সময় ডিম খাওয়া এবং
ডিম দিয়ে বিভিন্ন উৎসব পালন করা একটি প্রধান অংশ ছিল। ইস্টার ডিম হিসেবে
ডিম রাঙানো এবং তা উপহার দেওয়ার প্রথা তখন থেকেই শুরু।
বিজ্ঞানের
অগ্রগতির সাথে সাথে ১৯শ শতাব্দীতে ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা
যায় এবং ডিম হয়ে ওঠে আরও জনপ্রিয়। বর্তমানে, ডিম বিশ্বজুড়ে একটি
প্রধান খাদ্য উপাদান হিসাবে গণ্য করা হয়, এবং এর উৎপাদন ও বিপণন একটি বৃহৎ
শিল্পে পরিণত হয়েছে।
মানুষ কেন ডিম খেতে শুরু করে?
মানুষ ডিম
খেতে শুরু করে কারণ ডিম সহজে পাওয়া যায়, উচ্চমানের প্রোটিনের একটি চমৎকার
উত্স, এবং নানান রেসিপির সাথে সহজে মিলে যায়—যেমন সাধারণ সেদ্ধ, ভাজা
থেকে শুরু করে জটিল কুইচ, কাস্টার্ড, বা মেরিঙ্গু পর্যন্ত। এছাড়াও, ডিম
ধর্মীয় উপবাসের দিনগুলিতে মাংসবিহীন খাবারের একটি আদর্শ বিকল্প হিসেবে কাজ
করে, যা কিছু ধর্মীয় রীতিতে অত্যন্ত জরুরি।
ডিম কোন দেশ থেকে এসেছে?
ডিম হিসেবে যে খাবারটি আমরা চিনি, তা বিভিন্ন প্রজাতির পাখির থেকে আসে,
যার মধ্যে মুরগির ডিম বিশেষ করে সবচেয়ে জনপ্রিয়। খাদ্য ইতিহাস অনুযায়ী,
ডিম খাওয়ার অভ্যাস মানুষের প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে, যখন তারা বন্য
পাখির বাসা থেকে ডিম সংগ্রহ করে খেত।
মুরগির ডিম উৎপাদনের ঐতিহাসিক
উদাহরণ হিসেবে প্রাচীন ভারত এবং প্রাচীন মিশর উল্লেখযোগ্য। প্রায় 3200
খ্রিস্টপূর্বাব্দে ভারতে জঙ্গলের পাখিদের গৃহপালিত করা হয়েছিল, যা সম্ভবত
ডিম উৎপাদনের অন্যতম প্রাচীন নজির। অনুরূপভাবে, প্রাচীন মিশর এবং প্রাচীন
চীনে মুরগি পালন এবং ডিম খাওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। এই দুই সভ্যতা ডিম
উৎপাদন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ছিল।
সময়ের সাথে সাথে ডিম বিভিন্ন সভ্যতায় প্রচলিত হয়ে ওঠে এবং বিশ্বব্যাপী একটি প্রধান খাদ্য উপাদান হিসেবে পরিচিতি পায়।
ডিমের কুসুমে কি থাকে?
ডিমের
কুসুম (যা ইংরেজিতে "yolk" বলে) হচ্ছে ডিমের একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর অংশ
যেখানে নানা প্রকার ভিটামিন, খনিজ, এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান থাকে।
কুসুমের প্রধান উপাদানগুলি হলো জল, ফ্যাট, এবং প্রোটিন। সঠিক তথ্য
নিম্নরূপ:
1. ফ্যাট ও ফ্যাটি অ্যাসিড: ডিমের কুসুম বিভিন্ন ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ, যেমন ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড।
2.
ভিটামিন: কুসুমে থাকে ভিটামিন A, D, E, এবং K, এবং বেশ কিছু B-গ্রুপ
ভিটামিন, যেমন থায়ামাইন (B1), ভিটামিন B6, ভিটামিন B12, এবং প্যানথোথেনিক
অ্যাসিড।
3. খনিজ: আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং ছোট পরিমাণে ক্যালসিয়াম।
4. অন্যান্য উপাদান: কুসুমে লেসিথিন নামক একটি মহৎ ফসফোলিপিড থাকে, যা মেমরি এবং নার্ভ ফাংশনের জন্য জরুরি।
ডিমের
কুসুম একটি উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাদ্য উপাদান হিসেবে পরিচিত, কিন্তু এর
পুষ্টিকর গুণাবলী এটিকে একটি সুষম খাদ্য তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।
ডিমের কুসুম খেলে কি ক্ষতি হয়?
ডিমের
কুসুমে যেহেতু বেশি কোলেস্টেরল থাকে, তার মাধ্যমে অত্যধিক ডিমের কুসুম
খাওয়া শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। যেহেতু অতিরিক্ত
কোলেস্টেরল শরীরে হৃদরোগের ঝুঁকিতে বৃদ্ধি করতে পারে, এই ধরনের পূর্ণতা
বাধা সম্পর্কে সাবধানতা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণত, যারা অন্যান্য
হৃদরোগের ঝুঁকিতে ভুগে থাকেন বা অতিরিক্ত কোলেস্টেরল আছেন, তাদেরকে
অতিরিক্ত ডিমের কুসুম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে, মাত্রাতিরিক্ত
ডিমের কুসুম খেলে হতে পারে যে ধরনের লাভ হতে পারে তা মনে রাখা
গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণত স্বাস্থ্যকর পরামর্শ পেতে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
ডিমের কুসুমে কত গ্রাম ফ্যাট থাকে?
একটি
৫০ গ্রাম ওজনের ডিমে যেহেতু ৭২ ক্যালরি ও ৪ দশমিক ৭৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে,
তাহলে একটি ডিমের কুসুমে যদি ৫০ গ্রাম ফ্যাট থাকে, তবে এটি প্রায় ১২৫
ক্যালরি দেয়। এই গবেষণা অনুযায়ী, ডিমের কুসুমের ফ্যাটের পরিমাণ মুরগির
খাদ্য ও পরিবারের প্রকৃতি উপর নির্ভর করতে পারে।
ডিম খেলে কি চর্বি বাড়ে?
ডিম
একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার এবং এর মধ্যে থাকা ফ্যাট ও ক্যালরির পরিমাণ
অন্যান্য অনেক খাবারের তুলনায় স্বাভাবিক। ডিম খেলে সরাসরি চর্বি বাড়ে না;
বরং এটি চর্বি বৃদ্ধির উপর নির্ভর করে মোট ক্যালরি গ্রহণ ও শারীরিক
কর্মকান্ডের উপর। ডিম একটি সুষম খাবার হিসেবে অনেক ভিটামিন এবং খনিজের উৎস,
যা শরীরের বিভিন্ন মেটাবলিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে।
তাই, স্বাস্থ্যকর
খাবারের পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ডিম খাওয়া সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর। যদি কোনো
ব্যক্তির কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকে বা ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকতে চান, তাহলে
সীমিত পরিমাণে এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে ডিম গ্রহণ করা উচিত।
ডিম কি প্রোটিনের ভালো উৎস?
ডিম
প্রোটিনের অগ্রগতি হিসাবে বিবেচনা করা হয় যা অন্যান্য প্রোটিন উত্সগুলির
সাথে তুলনা করার জন্য একটি আদর্শ হিসাবে পরিবেশন করা হয়। ডিম একটি অত্যন্ত
পুষ্টিকর প্রোটিনের উত্স, যেখানে প্রতি বড় ডিমে প্রায় ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন
থাকে। এই প্রোটিন ডিমের কুসুম এবং সাদা অংশের মধ্যে সমানভাবে বিতরণ করা
হয়। ডিমের সাদা অংশে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৩.৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে,
যেখানে ডিমের কুসুমে প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ২.৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
প্রোটিন
উত্সের হিসেবে ডিম অনেকটা আদর্শ হতে পারে, কারণ এটি পুরো প্রোটিনের গ্রুপ
গুলিতে অনেক প্রোটিন এবং প্রোটিন সংযুক্ত আমিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে। এটি
সাধারণত মাংস, মাছ, ডাল, ওট্স, ছালুকী আদি সহ অন্যান্য প্রোটিন উত্সগুলির
সাথে তুলনা করা হয়। ডিম খাওয়া সাধারণত স্বাস্থ্যকর প্রোটিন উত্সের হিসাবে
পরিচিত এবং প্রোটিনের জন্য গুণাবলী উচ্চ মানের প্রোটিন সরবরাহ করে।
মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ
মুরগির ডিম একটি উত্কৃষ্ট পুষ্টিকর খাবার যা
অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণ সরবরাহ করে। এটি অতি মূল্যবান ওমেগা-৩ ফ্যাটি
অ্যাসিড যে হৃৎপিণ্ডকে কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ডিমে কোলিন
নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে, যা গর্ভবতী মায়ের মস্তিষ্কজনিত
জটিলতা দূরীকরণে সহায়তা করে এবং গর্ভাবস্থায় শিশুর মেধা ও স্মৃতি
বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ফলিক অ্যাসিড অথবা ফোলেট ডিমে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ
উপাদান, যা ত্রুটিপূর্ণ সন্তান জন্মদানের ঝুঁকি কমায়।
এই কারণে, মুরগির ডিম প্রায়ই পুরো পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হওয়া এবং স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।
দেশি মুরগির ডিমের উপকারিতা
দেশি
মুরগির ডিমে অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য
গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। একটি ডিমে ১৪৩ ক্যালরি এনার্জি থাকে, যা দিয়ে
শরীরের কার্যকারিতা বজায় রাখা হয়। এছাড়াও, ডিমে প্রোটিন, ফসফরাস, জিংক,
পটাশিয়াম এবং ফ্যাট রয়েছে, যা পুষ্টিকর এবং পুরোপুরি পুষ্টিকর একটি খাবার
হিসাবে দেখা যায়।
ডিম খেলে শিশুদের দৈহিক বিকাশ ও মেধার বিকাশে মূলত
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রোটিন শিশুদের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে এবং
তাদের শারীরিক ও মানসিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে পরিচিত।
তাছাড়াও, ডিমে থাকা ভিটামিন, মিনারেল, এনার্জি সরবরাহ করে এবং হাড় শক্ত
করে।
মুরগির ডিমে রয়েছে প্রায় সমস্ত পুষ্টিগুণ, যা শিশুদের অনুকূল
পৌষ্টিক খাবার হিসাবে গণ্য করা হয়। এটি তাদের উন্নত স্বাস্থ্য ও বিকাশের
জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ অংশ হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
ডিম খাওয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী?
ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে, যেমন:
1.
প্রোটিনের উৎস: ডিম প্রোটিনের একটি উত্তম উৎস, যা শরীরের মাংসপেশী ও
কোষগুলিকে উন্নত করে এবং প্রতিদিনের কাজের জন্য আবশ্যিক হতে পারে।
2. পুষ্টিকর: ডিমে প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন, মিনারেল, ফলিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে।
3. শিশুদের বিকাশ: ডিমে শিশুদের দৈহিক বিকাশ এবং মেধার বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে।
4. হাড়ের স্বাস্থ্য: ডিমে রয়েছে ফসফরাস ও ভিটামিন ডি, যা হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
5.
হার্ট হেলথ: ডিমে পুনরাবৃত্তির হার কমানোর সাথে সাথে কোলেস্টেরলের মাত্রা
নিয়ন্ত্রিত করতে সাহায্য করতে পারে এবং হৃদরোগ এবং ধারালো রক্তচাপের
ঝুঁকিকে কমাতে সাহায্য করতে পারে।
6. ওজন নিয়ন্ত্রণ: ডিমে উচ্চ প্রোটিন
এবং শ্রমিক প্রকৃতির ফসল রয়েছে, যা মানসিক খাদ্য চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করতে
সাহায্য করতে পারে এবং অনুবাদক পেট বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে।
সাধারণভাবে,
ডিম সকালের খাবার হিসাবে এবং বিকালের খাবার হিসাবে একটি স্বাস্থ্যকর অংশ
হিসাবে ভাল উপকারিতা প্রদান করতে পারে। তবে, স্বাস্থ্যগত অবস্থা এবং পুরো
পুষ্টিকর খাবারের পরিমাণের জন্য ডিম খাওয়া প্রমাণিত হতে হবে।
অর্ধেক সিদ্ধ ডিমের উপকারিতা
সিদ্ধ ডিম ও অমলেট উভয়ই পুষ্টিকর খাবার। তবে, উভয়েরই উপকারিতা এবং ব্যবহারে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
সিদ্ধ
ডিম খেলে, ডিমের পুষ্টিগুণ সংরক্ষণ করা হয়। সিদ্ধ ডিমে থাকে সোডিয়াম,
পটাশিয়াম, ভিটামিন ডি, আয়রন, ভিটামিন বি ৬, ম্যাগনেশিয়াম, এবং অন্যান্য
খনিজ ও ভিটামিনের পরিমাণ প্রচুর থাকে। এতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম,
পোটাশিয়াম, ফসফোরাস, জিংক, আয়োডিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন
ডি, এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ রয়েছে।
অমলেটে প্রোটিন এবং খনিজের পরিমাণ থাকে, যেটি কয়েকটি পুষ্টিগুণ সংগ্রহ করে এবং ভিটামিন এ ও ভিটামিন ক অন্তত ছোট পরিমাণে থাকে।
অমলেট
বা সুটকি করে খাওয়ার ক্ষেত্রে, অনেকে তেল বা সসের মাধ্যমে যোগ করে থাকেন,
যা অতিরিক্ত ক্যালরি এবং অন্যান্য অল্প পুষ্টিগুণের জন্য দ্বারা অনুসরণ
করা যেতে পারে। সিদ্ধ ডিম খেতে যদি নিখুঁত পুষ্টি পেতে চান, তবে সাধারণভাবে
সিদ্ধ ডিম এবং সহজলভ্য স্বাদের খাবার হিসাবে নেওয়া হয়।
পণ্যগুলির
সঠিক মাত্রা ও অনুস্থিতি পর্যালোচনা করে নিজেদের পূর্ববর্তী স্বাস্থ্য
অবস্থা এবং পুষ্টিগুণের মাধ্যমে ডিমের বিভিন্ন রূপ থেকে উপকার নেওয়া উচিত।
সাদা ডিম নাকি লাল ডিম, কোন ডিমে পুষ্টি বেশি
সাদা
ডিম এবং লাল ডিম উভয়েই পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর। তবে, তাদের মধ্যে কিছু
পুষ্টি ও অন্যান্য উপকারিতা স্বল্প পরিবর্তন করতে পারে।
সাদা ডিমে আমিনো
অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে যা মাংসের গঠন ও উন্নত করে, যেখানে লাল ডিমে
প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকতে পারে। লাল ডিমে রয়েছে কার্টিনযুক্ত লাল
পিগমেন্ট, যা বিশেষ প্রোটিনের একটি উৎস হিসাবে কাজ করে এবং সাধারণভাবে লাল
ডিমে সাধারণ ডিমের থেকে প্রোটিনের একটি বেশি পরিমাণ থাকে।
একটি স্টাডি
প্রকাশিত হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে যে লাল ডিমে ভালো প্রোটিনের পরিমাণ বেশি
থাকতে পারে, যা অধিকাংশই মাংসের যাদের স্থায়ী কার্যকারিতা এবং মজুতি
প্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সাদা ডিমে আয়োডিনের পরিমাণ বেশি থাকতে পারে, যা থাইরইড হরমোনের তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়।
তাছাড়া, আয়োডিন ও ভিটামিন ডি অন্যত্র প্রাপ্ত না হওয়া পর্যায়ে লাল ডিমের গুরুত্ব বেশি হতে পারে।
তবে,
এই পরিমাণের পুষ্টির অধিকাংশ সম্পর্কে আগের উত্তরে উল্লিখিত আছে, এবং সাদা
ডিম এবং লাল ডিমের উপকারিতা ও উপকরণের সমান্য পরিমাণের পরিমাণ উপভোগ করা
উচিত।
ডিমের সাথে ১০টি দুর্দান্ত রেসিপি
ডিম একটি
অত্যন্ত ব্যবহৃত খাবার যা বিভিন্ন স্তরের রেসিপি তৈরি করার জন্য ব্যবহার
করা যেতে পারে। এখানে কিছু দুর্দান্ত ডিম রেসিপি দেওয়া হলো:
1. মসলা ডিম: মসলা ও স্বাদে ভরা একটি ডিম রেসিপি।
2. স্পিনাচ ও ডিমের কারি: স্পিনাচ ও ডিমের মিশ্রণে তৈরি করা একটি স্বাদেশি কারি।
3. ডিম ভুরা: ডিম ও মসলা দিয়ে তৈরি একটি পুরো রেসিপি।
4. ডিম পুডিং: মিল্ক এন্ড ইগ রেসিপি তৈরি করার জন্য ডিমের ব্যবহার।
5. ডিম কাটলেট: ডিম এবং আলু দিয়ে তৈরি একটি সুস্বাদু মিশ্রিত খাবার।
6. ডিম চাউমিন: চিংড়ি এবং ডিমের সম্পর্কে তৈরি একটি উপস্থিত রেসিপি।
7. ডিম ভুনা: ডিম এবং স্পাইসি মসলা দিয়ে তৈরি একটি ভাপি ডিম রেসিপি।
8. ডিম স্যান্ডউইচ: ডিমের মিশ্রিত স্যান্ডউইচ রেসিপি।
9. ডিম রোল: ডিমের মিশ্রণে তৈরি করা একটি লেবু ডিম রোল রেসিপি।
10. ডিম ফ্রাই: ডিমের মিশ্রণে তৈরি করা একটি চিংড়ি ফ্রাই রেসিপি।
এই
রেসিপিগুলির মধ্যে অন্যান্য রেসিপির মতো আরো অনেক সুস্বাদু রেসিপি আছে।
এগুলি অনুসারে আপনি অতিরিক্ত সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর ডিম রেসিপি তৈরি
করতে পারেন।
আরো পড়ুন>>