নেটওয়ার্কিং ডিজিটাল জগতে সংযোগের গল্প

নেটওয়ার্কিং


নেটওয়ার্কিং: ডিজিটাল জগতে সংযোগের গল্প। আধুনিক প্রযুক্তির সময়ে, নেটওয়ার্কিং প্রস্তুতি হতে ব্যবহার হচ্ছে সুসংগঠিত এবং প্রফেশনাল কাজভাবে। ডিজিটাল জগতে সংযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে এবং ব্যবসায়িক উন্নতি হচ্ছে। এই গল্পে, আমরা দেখবো কিভাবে নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে লোকেরা নতুন দিকে এগোবে, ডিজিটাল যুগে সুসংগঠিত এবং জরুরী সংযোগ সৃষ্টি করতে সাহায্য করতে সক্ষম হতে পারে। এটি সংযোগের প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্প্রদায়, ব্যবসা, এবং প্রযুক্তি সাপেক্ষে পূর্বাভাস দেয়, যা একটি সামর্থ্যশালী ডিজিটাল ভবিষ্যতের মুখোমুখি দেখায়।

নেটওয়ার্কিং কি?

নেটওয়ার্ক হলো কম্পিউটার সিস্টেম ও অন্যান্য ডিভাইসগুলির মধ্যে ডেটা এবং সম্পর্ক কাঠামো তৈরি করে তাদের মধ্যে তথ্য অবতরণ করার পদ্ধতি। এটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একটি সাধারণ কার্যকারী প্রণালীর নির্দেশনা করে, এমনকি দুইটি বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য অবতরণ করা হয়।

নেটয়ার্কিং এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো তথ্য শেয়ার ও সহযোগিতা করা। এটি বিভিন্ন স্তরে ব্যবহার হতে পারে। যেমন: ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক, সাধারণ অফিস নেটওয়ার্ক, বড় কোম্পানি নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট এবং অন্যান্য বৃহত্তর স্কেলে নেটওয়ার্ক।

নেটওয়ার্কিং সাধারণভাবে তার উদ্দেশ্যের জন্য বিভিন্ন প্রকারের উপায়ে ডেটা এবং তথ্য অবতরণ করে। যেমন: তথ্য পাঠানো, ফাইল শেয়ার করা, ইন্টারনেট এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য অবতরণ করা। এছাড়াও, নেটওয়ার্কিং সম্পূর্ণ জগতে দূরবর্তী কর্মীদের সম্মেলন এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পর্ক করতে সাহায্য করতে পারে।

এটি ভিন্ন প্রকারের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে যেমন: ইথারনেট, ওয়াই-ফাই, সোয়ারটিং, ফাইবার অপটিক্যাল কেবিল, ব্লুটুথ, ইনফ্রারেড, স্যাটেলাইট এবং ডেটা কেবল এবং অন্যান্য সাধারণ  এবং দূরবর্তী কমিউনিকেশন প্রযুক্তি।

নেটওয়ার্কিং এর কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্যঃ

সংযোগ (Connectivity): নেটওয়ার্কিং এর মূল উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন উপাধিতে ডিভাইসগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপন যাতে তারা এক অপরের সাথে ডেটা শেয়ার করতে পারে।

সহজবোধ (Ease of Understanding): নেটওয়াকিং তত্ত্বের এবং প্রযুক্তিতে অংশ গ্রহণকারী ডিভাইসগুলি একটি সাধারণ ভাষায় কথা বলতে হয় তাতে প্রযুক্তিতে প্রবেশকারী লোকের জন্য এটি সহজ হয়ে থাকে।

মনিটরিং এবং ম্যানেজমেন্ট (Monitoring and Management): নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে নিজেদের সংস্থার কাজের অবস্থা এবং পারফরম্যান্স মনিটর করা যায় এবং নেটওয়ার্ক সুরক্ষা এবং ব্যাবস্থানিক ব্যবস্থাপনা সহজে করা যায়।

রুটিং এবং সুইচিং (Routing and Switching): নেটওয়ার্কিং এ ডেটা পথ প্রদান করতে এবং নেটওয়ার্কে ডেটা প্রেরণ এবং প্রস্তুতি করতে রুটিং এবং সুইচিং ব্যবহার করা হয়।

সুরক্ষা (Security): নেটওয়ার্ক সুরক্ষা মহত্ত্বপূর্ণ একটি দিক  কারণ এটি হ্যাকিং, ভাইরাস, ম্যালওয়্যার এবং অন্যান্য সংক্রান্ত জোখমগুলি থেকে নেটওয়ার্ক রক্ষা করে।

সহজেই বলতে গেলে, নেটওয়ার্কিং হলো একটি সুসংযোগ প্রযুক্তি যা ডিভাইসগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং তাদের মধ্যে ডেটা ও সংযোগ সাধিত করে।

 বেসিক নেটওয়ার্কিং কি?

বেসিক নেটওয়ার্কিং হলো কম্পিউটার এবং অন্যান্য ডিভাইসগুলির মধ্যে তথ্য ও সংযোগ স্থাপনের প্রক্রিয়া, যা সাধারণ ও সহজ ভাষায় বুঝতে সাহায্য করে। এটি কিছু মৌলিক বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে:

ডিভাইস ও কম্পিউটারগুলির ইন্টারফেসঃ নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করা সকল ডিভাইস একটি ইন্টারফেস বা সংযোগ প্রদান করে, যার মাধ্যমে তারা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কম্পিউটারের ইথারনেট পোর্ট, ওয়াই-ফাই, বা ব্লুটুথ ইন্টারফেসের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হয়।

ইপ ঠিকানা এবং সাবনেটঃ এই সাংগঠিত তথ্য ব্যবস্থা দিয়ে নেটওয়ার্কের প্রতি ডিভাইসকে একটি অনন্য শনাক্তকারী ঠিকানা দেওয়া হয়। ইপ ঠিকানা একটি ডিভাইসকে নেটওয়ার্কে একত্রিত করে এবং একটি সাবনেট তৈরি করতে সাহায্য করে।

রাউটার এবং সুইচের ব্যবহারঃ নেটওয়ার্কে তথ্য পাঠাতে এবং প্রাথমিক সংযোগ প্রদান করতে রাউটার এবং সুইচ ব্যবহার করা হয়। রাউটার নেটওয়ার্কের মধ্যে প্যাকেট বিন্যাস করতে সাহায্য করে, আর সুইচ ডিভাইসগুলির মধ্যে তথ্য অবতরণ করতে সাহায্য করে।

প্রোটোকল সুযোগঃ নেটওয়ার্কে তথ্য পাঠাতে এবং গ্রহণ করতে বিভিন্ন প্রোটোকল ব্যবহৃত হয় যেমন: TCP/IP (ইন্টারনেটের জন্য), UDP, ICMP ইত্যাদি।

ইন্টারনেট প্রোটোকল সুযোগঃ ইন্টারনেটে সকল ডিভাইসের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সাধারনত ইন্টারনেট প্রোটোকলগুলির মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি TCP/IP প্রোটোকল সুযোগ করে যা ইন্টারনেটে তথ্য পাঠাতে এবং গ্রহণ করতে ব্যবহৃত হয়।

এই বেসিক মৌলিকগুলি আপনার নেটওয়ার্কিং জ্ঞান স্থাপনে সাহায্য করতে পারে এবং এই সরল কনসেপ্টগুলির উপর ভিত্তি করে আপনি অধিক জটিল নেটওয়ার্কিং বিষয়ে আগাতে পারেন।

একটি কম্পিউটারে কিভাবে নেটওয়ার্কিং করবো তা স্টেপ বাই স্টেপ দেওয়া হলো:

 ধাপ ১: প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করুন: একটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ (উদাহরণস্বরূপ, DSL বা ক্যাবল মডেম এবং রাউটার) একটি কম্পিউটার এবং যদি সম্ভাবনা থাকে, একটি কম্পিউটার এবং মোবাইল ডিভাইসের জন্য ওয়াই-ফাই কার্ড বা অন্যান্য সংযোগ উপাদান। একটি রাউটার যদি ইন্টারনেট সংযোগ সাধারণত কম্পিউটারে না থাকে।

ধাপ ২: ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন : ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ এবং মডেম সেট আপ করুন। এটি আপনার ইন্টারনেট প্রদানকারী (ISP) থেকে পাওয়া সার্ভিস এর ধরণের উপর ভিত্তি করবে।

ধাপ ৩: রাউটার: সেটআপ রাউটার পাওয়া ইন্টারনেট সংযোগে ইন্টারনেট কেবল বা মডেম এবং কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করুন।

রাউটারের প্রশাসনিক কনসোল বা ওয়েব ইন্টারফেস ব্যবহার করে রাউটারে লগইন করুন (ডিফল্ট IP ঠিকানা, ব্যবহারকারীনেম, এবং পাসওয়ার্ড রাউটারের ম্যানুয়াল থেকে পাওয়া যাবে) এবং আপনার প্রদানকারী ISP এর সাথে সংযোগ স্থাপন করুন।

ধাপ ৪: কম্পিউটার সংযোগ করুন আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট কেবল বা ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে রাউটারে সংযোগ করুন।এই সময়ে আপনি কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক সেটিংস চেক করতে পারেন এবং আপনার প্রদানকারী থেকে প্রদত্ত সংযোগের জন্য সঠিক কনফিগারেশন সেট করতে পারেন।

ধাপ ৫: নেটওয়ার্ক কনফিগারেশন: কম্পিউটারে এইচটিটিপি/আইপি কনফিগার করুন যেন এটি নেটওয়ার্কে সংযোগ করতে পারে। কম্পিউটারে একটি সাধারণত ওয়ার্কযোগ্য পূর্ণসংযোগ পেতে ইন্টারনেট কনফিগারেশন বা নেটওয়ার্ক সেটিংস এ আপনি এইচটিটিপি ঠিকানা, সাবনেট মাস্ক, গেটওয়ে এবং বিষয়বস্তু ডিএনএস সার্ভার তথ্য প্রদান করতে পারেন।

এই ধাপগুলি অনুসরণ করলে, আপনি আপনার কম্পিউটার এবং অন্যান্য ডিভাইসগুলি নেটওয়ার্কে সংযোগ করতে সক্ষম হবেন।

আইটি বা তথ্য প্রযু্ক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

বিশ্বে প্রথম ইন্টারনেট নেটওয়ার্কিংয়ের নাম কি ?

বিশ্বে প্রথম ইন্টারনেট নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তির নাম "ARPANET" (Advanced Research Projects Agency Network) ছিল। ARPANET হলো মার্কিন সংযোজন প্রযুক্তি প্রযুক্তির একটি প্রকল্প, যা ১৯৬৯ সালে শুরু হয়েছিল। এটি মৌলিকভাবে মার্কিন সরকারের DARPA (Defense Advanced Research Projects Agency) দ্বারা তৈরি হয়েছিল এবং এটি ইন্টারনেট প্রযুক্তির জন্মের কারণ হিসেবে পরিচিত। ARPANET হতে একে অন্যকে সংযোজন করতে পারেনি  এবং এটির মাধ্যমে ডেটা পাঠানোর জন্য টিসিপি (TCP/IP) প্রোটোকলটির উদ্ভাবন হয়েছিল, যা পরবর্তীতে ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে প্রধান হয়ে উঠেছে।

বেসিক টু অ্যাডভান্সড নেটওয়ার্কিং কি?

নেটওয়ার্কিং এ আপনি একটি বেসিক লেভেল থেকে অ্যাডভান্সড লেভেলে প্রসারিত হতে পারেন। নীচে কিছু প্রধান বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে, যা আপনার নেটওয়ার্কিং জ্ঞান এবং দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

বেসিক নেটওয়ার্কিং:

ইথারনেট এবং ওয়ায়াই-ফাই কনসেপ্ট:  ইথারনেট ক্যাবল এবং ওয়ায়াই-ফাই ক্যাবলের ব্যবহার।

আইপি এবং সাবনেটিং: আইপি ঠিকানা এবং সাবনেটিং কনসেপ্ট।

রাউটিং এবং সুইচিং: রাউটিং এবং সুইচিং এর মধ্যে পার্থক্য

মধ্যবর্তী নেটওয়ার্কিং:

বিশেষজ্ঞ প্রোটিাকল:  বিভিন্ন প্রোটোকল যেমন OSPF, EIGRP এবং BGP এর পরিচয়।

ভাইরাস স্ক্যানিং এবং সাইবার সিকিউরিটি:   নেটওয়ার্কে সুরক্ষার জন্য ভাইরাস স্ক্যানিং এবং সাইবার সিকিউরিটি প্রক্রিয়া।

ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট: ব্যান্ডউইথ নিয়ন্ত্রণ এবং ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতির বৃদ্ধি।

অ্যাডভান্সড নেটওয়ার্কিং:

ক্লাউট কম্পিউটিং:    ক্লাউড কম্পিউটিং সেটাপ এবং ব্যবহার।

সফটওয়্যার ডিফাইন্ড নেটওয়ার্কিং(SDN):    SDN কনসেপ্ট এবং এর ব্যবহার।

কনটেনার ওর্কেস্ট্রেশন: কনটেনার ওর্কেস্ট্রেশন টুল এবং কনটেনার ভার্চুয়ালাইজেশন।

নেটওয়ার্ক ভার্চুয়ালাইজেশন(VN): নেটওয়ার্ক ভার্চুয়ালাইজেশন এবং সংজ্ঞা।

উল্লেখযোগ্য যে, বিষয়গুলি নিয়ে এখানে আলোকপাত করা হয়েছে। তবে সমস্ত বিষয়গুলি সম্পর্কে আপনি আগ্রহী হলে বৃদ্ধি করতে পারেন এবং বিস্তারিত ধারণা পেতে আরও পড়তে পারেন।

কমিউনিকেশন সিস্টেম ও নেটওয়ার্কিং সৃজনশীল

কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কিং একইসঙ্গে কাজ করার জন্য সৃজনশীল এবং মৌলিক উপায়ের একটি গভীর সংযোগ রয়েছে। এই দুটি ক্ষেত্রের একটি হলো অদ্ভুততা এবং অপরটি সংকল্প।

কমিউনিকেশন সিস্টেম:

কমিউনিকেশন সিস্টেম হলো তথ্য এবং ডেটা প্রসারিত এবং গ্রহণ করার জন্য ব্যবহৃত সমস্ত উপায়ের সমন্বিত সংস্করণ। এটি সহজে বললে, কমিউনিকেশন সিস্টেম একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে তথ্য বা ডেটা এক থেকে অপরে প্রেরণ এবং গ্রহণ করে। এটি মোটামুটি তিনটি উপাদান অনুভব করে: সাংবাদিক, মাধ্যম এবং প্রাপক। কমিউনিকেশন সিস্টেম একটি সমতুল্য সাংবাদিক বা প্রেরক দ্বারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্য প্রেরণ এবং গ্রহণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়। 

নেটওয়ার্কিং:

নেটওয়ার্কিং বা নেটওয়ার্ক সিস্টেম হলো একটি সংগঠিত পদ্ধতিতে সততা, গঠন, এবং সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন কম্পিউটার এবং অন্যান্য উপাদানের মধ্যে তথ্য শেয়ার করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। নেটওয়ার্ক সিস্টেম বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কম্পিউটার, সার্ভার, রাউটার, সুইচ, গেটওয়ে এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক ডিভাইসের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করে। এটি ব্যবহার করে একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে এবং অনলাইন সার্ভিস প্রদানের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

সমন্বিত ব্যবহার:

কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং নেটওয়ার্কিং একইসঙ্গে আসলে একটি পূর্ণভাবে সমন্বিত একটি জগৎ তৈরি করে। একটি ভাল নেটওয়ার্কিং সিস্টেম অভিজ্ঞান ও সংবেদনশীল কমিউনিকেশন সিস্টেম তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে এবং এটি সুস্থ এবং একত্রিত তথ্য প্রসারণ ও গ্রহণ করতে সাহায্য করতে পারে।

নেটওয়ার্কিং হার্ডওয়্যার কি?

নেটওয়ার্কিং হার্ডওয়্যার  হলো নেটওয়ার্ক ইন্ফ্রাস্ট্রাকচারে ব্যবহৃত ডিভাইস এবং উপাদানের সমষ্টি, যা নেটওয়ার্ক কাজ করতে ব্যবহৃত হয়। নেটওয়ার্কিং হার্ডওয়্যার বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস এবং উপাদানের সমন্বয়ে কাজ করে, যাতে নেটওয়ার্ক তথ্য প্রসারিত এবং গ্রহণ করতে পারে। নীচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্কিং হার্ডওয়্যার উল্লেখ করা হলো: 

রাউটার (Router): রাউটার হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা একটি নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কে ডেটা প্রেরণ করতে এবং প্রাপকে প্রেরণ করা ডেটা গ্রহণ করতে পারে। এটি একটি লোজিকালি পৃষ্ঠভূমি বা নেটওয়ার্ক বানানোর জন্য ব্যবহার হয়।

সুইচ (Switch): সুইচ হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা একটি নেটওয়ার্কে সংযোগিত ডিভাইস মধ্যে ডেটা প্রেরণ করতে এবং গ্রহণ করতে সহায়ক হয়। এটি লোজিকালি নেটওয়ার্কে ভাগ করে এবং প্রতি পোর্টে একটি ডিভাইস সংযোগ করতে সাহায্য করে।

হাব (Hub):  হাব হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা একটি নেটওয়ার্কে সংযোগিত সকল ডিভাইসে ডেটা প্রেরণ করতে এবং গ্রহণ করতে সহায়ক হয়, তবে এটি ডেটা প্যাকেটগুলি সব ডিভাইসে একই সময়ে প্রেরণ করে, এটি কলিজন সৃষ্টি করতে সহায়ক হয়।

নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড (NIC):   এটি হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যা কম্পিউটারে ইনস্টল করা হয় এবং কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্কের মধ্যে তথ্য প্রসারণ এবং গ্রহণ করতে সাহায্য করে।

কেবল এবং কনেক্টর: নেটওয়ার্কে ডিভাইসগুলির মধ্যে ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে ব্যবহৃত কেবল এবং কনেক্টর। ইথারনেট কেবল এবং রিজিস্টার্ড জ্যাক ইত্যাদি এই ধরনের উদাহরণ।

ফায়্যারওয়াল (Firewall):  এটি হলো নেটওয়ার্কের সুরক্ষা বাড়াতে ব্যবহৃত একটি ডিভাইস, যা অনুমতি দেয় এবং বাধাই ডেটা প্যাকেটগুলির মধ্যে অনুমান করে।
 
গেটওয়ে (Gateway) :  গেটওয়ে হলো একটি ডিভাইস বা সফ্টওয়্যার যা একটি নেটওয়ার্কে থেকে অন্য নেটওয়ার্কে ডেটা প্রেরণ করতে এবং প্রাপকে প্রেরণ করা ডেটা গ্রহণ করতে সহায়ক হয়। 

এই হার্ডওয়্যার উপাদানগুলি সমন্বয়ে কাজ করে এবং একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সাহায্য করে। এই উপাদানগুলির সঠিক ইমপ্লিমেন্টেশন এবং কনফিগারেশন দ্বারা একটি সুস্থ এবং কার্যকর নেটওয়ার্ক তৈরি হয়। 

 কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং বই এর নাম সমূহ:

সহযোগি হিসাবে আমরা কিছু বই ব্যবহার করতে পারি ।কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং বই অনেক আছে, একইভাবে বিভিন্ন লেভেলে প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে। তিনটি প্রস্তুত বই এর উদাহরণ দেওয়া হলো:

Computer Networking: Principles, Protocols and Practice - এই বইটি একটি বিশেষজ্ঞ দল দ্বারা লেখা হয়েছে এবং তার ভিত্তিতে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর মৌলিক প্রিন্সিপল, প্রোটোকল এবং অনুভূতি উপর ভিত্তি করে।

"Computer Networks" by Andrew S. Tanenbaum - এই বইটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর মৌলিক বিষয়গুলি উপর ভিত্তি করে এবং এটি আধুনিক নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি এবং প্রোটোকলের বিভিন্ন সমস্যার উপর চর্চা করে।

TCP/IP Illustrated, Volume 1: The Protocols" by W. Richard Stevens - এই বইটি TCP/IP প্রোটোকলগুলির বিস্তারিত আলোচনা করে এবং তা নিয়ে প্রাথমিক ধারণা প্রদান করে।

এই বইগুলি কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং বিষয়ে প্রথম থেকে শুরু করে উন্নত স্তরের জ্ঞানের অর্জনে সাহায্য করতে পারে।

নেটওয়ার্কি বা নেটওয়ার্ক সংক্ষেপমূলক উপসংহারে নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি এবং ব্যবহারের সারমর্ম সমাহার করা হয়েছে। এটি একটি সংবেদনশীল ক্ষেত্র, যা তথ্য এবং সংযোগের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং বিভিন্ন প্রকারে সেটআপ করা হতে পারে।

নেটওয়ার্কে তথ্য সম্প্রেষণের জন্য বিভিন্ন প্রোটোকল ব্যবহৃত হয়। যেমন ইথারনেট, TCP/IP, ওয়ায়াই-ফাই ইত্যাদি। লোকাল এবং গ্লোবাল নেটওয়ার্ক দুটি প্রধান ধারার মধ্যে তথ্য বিনিময় হয়, যেখানে লোকাল নেটওয়ার্ক একটি প্রতিষ্ঠান বা অঞ্চলের মধ্যে সীমিত থাকে এবং গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সংযোগ স্থাপন করে।

নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত কেবলের ধরণ, সংবাদ প্রযুক্তি, নেটওয়ার্ক সেটআপের উপায়য় ইত্যাদি নেটওয়ার্কি উপসংহারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়াও, ইন্টারনেট এবং এর প্রভাব, সিকিউরিটি এবং নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সহ বিভিন্ন দিকে নেটওয়ার্কি জগতে অগ্রগতি এবং উন্নতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

নেটওয়ার্কি বিজ্ঞানের উন্নতিতে সাধারনতভাবে ব্যবহৃত প্রযুক্তি  যেমন ক্যাবলের প্রযুক্তি, হার্ডওয়্যার, সফ্টওয়্যার এবং নেটওয়ার্ক সেকিউরিটির ক্ষেত্রে অগ্রগতি হচ্ছে। এই সকল দিক একত্রে মিলে এবং সামগ্রিকভাবে নেটওয়ার্কি বিজ্ঞান বা নেটওয়ার্কিং সাধারণ মানুষের জীবনে বিপুল পরিবর্তন আনছে

আরো পড়ুন>>